রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি - মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
বাতিঘর প্রকাশনী
জনরা : থ্রিলার
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি 2015
প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 271
মুদ্রিত মূল্য : 250 টাকা
জনরা : থ্রিলার
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি 2015
প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 271
মুদ্রিত মূল্য : 250 টাকা
মফস্বল এলাকা সুন্দরপুর। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও তাদের আছে গর্ব করার মত একটা ব্যাপার।
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি।।।
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে সুন্দরপুরে। প্রতিদিন সেখানে নানান সুখাদ্যের মন মাতানো সুবাস পাওয়া যায়। যার লোভে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসে এখানে খেতে। যেমন রেস্টুরেন্টের নাম তেমনি রহস্যময় এর মালিক মুশকান জুবেরি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলাকার হোমরাচোমরা ব্যক্তিদের সাথে দহরম মহরম থাকায় কেউ তাকে ঘাটায় না। কিন্তু আড়ালে সবাই নিন্দা করে।
একদিন এই সুন্দরপুরে নুরে ছফা নামে এক ব্যক্তির আগমন ঘটে। এসেই প্রথমে সে দুপুরের খাবার খেতে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢোকে। সুস্বাদু আর মনোমুগ্ধকর সেই সুবাস তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় ভেতরে। খাবার অর্ডার করে চারপাশে নজর বোলায় সে। আশেপাশের সবার অবস্থা দেখে মনে হয় এমন স্বর্গীয় খাবার আগে কখনো খায়নি তারা। খাবার খেতে বসে নুরে ছফারও একই অনুভূতি হয়। হাতের আঙুলগুলো পর্যন্ত চেটে খেয়ে ফেলে সে। খাবার শেষে বেড়িয়ে যায় স্বর্গীয় এক অনুভূতি নিয়ে।
বেড়িয়ে সামনেই রাস্তার উল্টোপাশের চা দোকানে এক কাপ গুড়ের চা আর এক প্যাকেট সিগারেটের বিনিময়ে রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞেস করে। সেখানে পুলিশের ইনফর্মার আতরের সাথে কথা হয়, পরে তার কাজ থেকে সাহায্য চায় সে। তার সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে সাহায্য করতে রাজি হয় আতর। শুরু হয় দুজনে মিলে তথ্য সংগ্রহ।
একপর্যায়ে এলাকার প্রাচীন এক ব্যক্তির থেকে মুশকান জুবেরির অতিত সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু অদ্ভুত নামের সেই ব্যক্তি মানে রমাকান্ত কামারও ঠিকঠাক বলতে পারেন না। তবে জমিদার বাড়ির ইতিহাস বলেন নুরে ছফাকে। পরবর্তীতে জানা যায় নুরে ছফা আসলে সাংবাদিক না।।।
কে এই নুরে ছফা? কেন সে মুশকার জুবেরি সম্পর্কে এত কিছু জানতে চায়? কি উদ্দেশ্য তার? আর মুশকানের গোপন রহস্য কি? কেন সে এমন অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট দিয়েছে? আর এত সুস্বাদু খাবারের রহস্যটা কি?
জানতে হলে আপনাকেও যে একবেলা খেতে এখানে।।। কি??? খাবেন তো???
আমার কথা :
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি।।। কি অদ্ভুত না নামটা? যেখানে এই নামটা সবাইকে আকর্ষণ করেছে। সেখানে আমাকে ঠিক ততটাই বিকর্ষণ করেছিল। শুধুমাত্র এই নামের জন্য আমি ছয় সাতমাস বইটার কাছেই যাইনি যদিও সংগ্রহ করা ছিল। একদিন হঠাৎ মনে হল, নামটা এমন অদ্ভুত কেন? নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে? তাই কারণ জানার জন্যই বইটা নিয়ে বসা।।।
আমি এতদিন ধরে কি মিস করেছি তাই ভেবে ভেবে আফসোস করলাম কিছুক্ষণ বইটা শেষ করে। এটাতো থ্রিলার না, থ্রিলারের বাপ। একদম চিলার।।। শুধু থ্রিল দেই নাই একদম চিল করে দিয়েছে। কাহিনী প্রথমদিকে একটু বোরিং ছিল, মাঝে মাঝে একটু বাহুল্য লেগেছে কোথাও কোথাও। বাকি পুরোটা ঠিক ঠাক আছে। আর একদম শেষটায় অপরাধী ধরা না পড়ায় একটু মেজাজ খারাপ হয়েছে। আর মনে একটা সূক্ষ্ম আশার উদয় হয়েছে যদি একটা সিকুয়েল আসে।।। লেখক অবশ্য আশা দিয়ে রেখেছেন। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি" আসছে। তাই আমিও আসায় আছি।।।
হ্যাপি রিডিং।।।
Comments
Post a Comment