মা - আনিসুল হক
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০০৩
প্রকাশনী: সময় প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৭২
বইয়ের মূল্য: ২৫৫ টাকা(রকমারি মূল্য)
প্রকাশনী: সময় প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৭২
বইয়ের মূল্য: ২৫৫ টাকা(রকমারি মূল্য)
কাহিনী সংক্ষেপ:
এই বই একজন মা কে নিয়ে লেখা। একজন আদর্শবান ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মা কে নিয়ে তৈরী এই উপন্যাস। লড়াই করে বেচেঁ থাকা, শত আঘাতেও মাথা উচুঁ করে বেচেঁ থাকা হার না মানা মায়ের গল্প নিয়ে লেখা এই বই!
সেই মা শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম!
এই বই একজন মা কে নিয়ে লেখা। একজন আদর্শবান ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মা কে নিয়ে তৈরী এই উপন্যাস। লড়াই করে বেচেঁ থাকা, শত আঘাতেও মাথা উচুঁ করে বেচেঁ থাকা হার না মানা মায়ের গল্প নিয়ে লেখা এই বই!
সেই মা শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম!
আজাদ ছিলো তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আজাদের বাবা ইউনুস চৌধুরী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, টাটা কোম্পানিতে কর্মরত। তার পোস্টিং যখন কানপুর আজাদের তখন জন্ম। আজাদের জন্মের আগে অবশ্য আরো একটি মেয়ে হয়েছিলো সাফিয়া বেগমের। মেয়ের নাম রেখেছিলো বিন্দু।
বিন্দু মেয়েটি মারা যায় বসন্ত রোগে। আজাদের পরে অবশ্য আরেকটি ছেলে হয়। সেও আতুর ঘরে মারা যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এ দেশে চলে আসেন তারা। সে সময় সাফিয়া বেগম ছিলেন ঢাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের স্ত্রী। আজাদরা থাকতো ইস্কাটনে। আজাদদের ইস্কাটনের বাড়িটা ছিলো দেখার মতো একটা বাড়ি!
বিন্দু মেয়েটি মারা যায় বসন্ত রোগে। আজাদের পরে অবশ্য আরেকটি ছেলে হয়। সেও আতুর ঘরে মারা যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এ দেশে চলে আসেন তারা। সে সময় সাফিয়া বেগম ছিলেন ঢাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের স্ত্রী। আজাদরা থাকতো ইস্কাটনে। আজাদদের ইস্কাটনের বাড়িটা ছিলো দেখার মতো একটা বাড়ি!
এসবকিছু পায়ে ঠেলে এক কাপড়ে বের হয়ে এসেছিলেন ছেলের হাত ধরে সাফিয়া বেগম। যেদিন ইউসুফ চৌধুরী আরেকটা বিয়ে করে এ বাড়িতে বউ নিয়ে আসেন। সুখের জীবন ছেড়ে কষ্টের সাথে লড়াই করতেও আপোষ করেন নি।
কিন্তু তবুও মেনে নেন নি স্বামীর অন্যায়। আশা ছিলো, ছেলে আজাদ একদিন বড় হয়ে মায়ের দুঃখ ঘোচাবে। কিন্তু বিধি বাম! যেসময় আজাদের পড়াশোনা শেষে চাকরি করার কথা ঠিক সেসময়ই শুরু হয় দেশে মুক্তিযুদ্ধ।
ঘুরে যায় কাহিনীর মোড়। সুখের দিন আর দেখা হয় না মা সাফিয়া বেগমের। শত আঘাতে জর্জরিত হয়েও নিজের আত্মবিশ্বাসে অটল ছিলেন। হার মানেন নি কখনো। মনের জোরে বেচেঁ ছিলেন।
সেই সকল ঘটনা নিয়েই লেখা আনিসুল হকের "মা" বইটি।
কিন্তু তবুও মেনে নেন নি স্বামীর অন্যায়। আশা ছিলো, ছেলে আজাদ একদিন বড় হয়ে মায়ের দুঃখ ঘোচাবে। কিন্তু বিধি বাম! যেসময় আজাদের পড়াশোনা শেষে চাকরি করার কথা ঠিক সেসময়ই শুরু হয় দেশে মুক্তিযুদ্ধ।
ঘুরে যায় কাহিনীর মোড়। সুখের দিন আর দেখা হয় না মা সাফিয়া বেগমের। শত আঘাতে জর্জরিত হয়েও নিজের আত্মবিশ্বাসে অটল ছিলেন। হার মানেন নি কখনো। মনের জোরে বেচেঁ ছিলেন।
সেই সকল ঘটনা নিয়েই লেখা আনিসুল হকের "মা" বইটি।
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
ম্যাক্সিম গোর্কির "মা" আর আনিসুল হকের "মা" দুই বইয়ের মধ্যে আমার কাছে ভালো লেগেছে আনিসুল হকের "মা" বইটি।
বাস্তব কাহিনী নিয়ে লেখা একটি বই। খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে এই বই পড়ে চোখের কোন ভিজবে না তা হতে পারে না। নিজের অজান্তেই চোখের কোণ ভিজে যায়।
আজাদের মায়ের আত্মবিশ্বাস আর সাহস সত্যিই প্রশংসনীয়। তা না হলে নিজের কষ্ট করে মানুষ করা ছেলেকে দেশের প্রতি কুরবান কয়জন মা করতে পারে?
অসম্ভব সুন্দর একটি বই। ভীষণ প্রিয় বই। এই বইয়ের রেটিং করার সাহস আমার নেই!
ম্যাক্সিম গোর্কির "মা" আর আনিসুল হকের "মা" দুই বইয়ের মধ্যে আমার কাছে ভালো লেগেছে আনিসুল হকের "মা" বইটি।
বাস্তব কাহিনী নিয়ে লেখা একটি বই। খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে এই বই পড়ে চোখের কোন ভিজবে না তা হতে পারে না। নিজের অজান্তেই চোখের কোণ ভিজে যায়।
আজাদের মায়ের আত্মবিশ্বাস আর সাহস সত্যিই প্রশংসনীয়। তা না হলে নিজের কষ্ট করে মানুষ করা ছেলেকে দেশের প্রতি কুরবান কয়জন মা করতে পারে?
অসম্ভব সুন্দর একটি বই। ভীষণ প্রিয় বই। এই বইয়ের রেটিং করার সাহস আমার নেই!
এই গল্পগ্রন্থ কি সত্য ঘটনা অবলম্বন করে রচিত
ReplyDelete